রাজনীতি

আওয়ামী লীগের বড় রাজনৈতিক ভুল কী ছিল, জানালেন হাছান মাহমুদ

উপ-সম্পাদক

উপ-সম্পাদক

মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৪
আওয়ামী লীগের বড় রাজনৈতিক ভুল কী ছিল, জানালেন হাছান মাহমুদ
আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা ড. হাছান মাহমুদ সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে দলটির বড় রাজনৈতিক ভুল এবং ভবিষ্যৎ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দলটির মনোভাব নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। লন্ডনভিত্তিক চ্যানেল এস-এ দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে আনার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা আওয়ামী লীগের বড় রাজনৈতিক ভুল ছিল। তিনি বলেন, বিএনপি বরাবরই নির্বাচন প্রতিহত করার কৌশল গ্রহণ করেছে, তবে আওয়ামী লীগ সরকার থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে নির্বাচনে আনতে না পারা একটি ব্যর্থতা।
হাছান মাহমুদ আরও উল্লেখ করেন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আওয়ামী লীগ প্রয়োজনে বিএনপির সঙ্গে একযোগে কাজ করতে প্রস্তুত। বিএনপি একটি অবাধ, সুষ্ঠু, ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে যে দাবিগুলো করেছে, তা নিয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান রয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে একমত হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে কাজ করতে দলটি আগ্রহী। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং মহাসচিবের দেওয়া বক্তব্য, যে অন্তর্বর্তী সরকারের মূল কাজ হওয়া উচিত অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা, এই অবস্থানের প্রতি তিনি সমর্থন প্রকাশ করেন।
এছাড়া, হাছান মাহমুদ দেশের সাংবিধানিক সংকটের বিষয়ে বিএনপির সতর্ক অবস্থানকে সাধুবাদ জানান। তিনি বলেন, কোনো সরকারই শেষ সরকার নয় এবং ভবিষ্যতের সরকার গঠনও জনগণের হাতে। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগেরও সচেতন থাকা প্রয়োজন, কারণ দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া সবসময় চলমান।
রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে তিনি জানান, এটি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব, এবং এটি কোনো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যাওয়ার মতো প্রক্রিয়া নয়। বরং এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা ধীরে ধীরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংস্কারিত হতে থাকে। ফখরুল ইসলামের বক্তব্যে রাষ্ট্র সংস্কারের কথা তুলে ধরার পর তিনি তার সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে একমত প্রকাশ করেন এবং মনে করেন যে, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রক্রিয়া তিন মাস বা ছয় মাসে শেষ হওয়া উচিত নয়।
ড. হাছান মাহমুদের এই বক্তব্য আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও দলটির মধ্যে সহনশীলতার একটি বার্তা বহন করে। বিএনপির সাথে একযোগে কাজ করার বিষয়ে তার উক্তি ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।