রাজনীতি

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিষয়ে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে: ফখরুল

উপ-সম্পাদক

উপ-সম্পাদক

রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪
রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিষয়ে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন যে, কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত জনগণই নেবে। তিনি এ বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানান, উল্লেখ করে বলেন, “রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা একটি চক্রান্তের অংশ। দেশে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা তৈরি করতে এমন ইস্যুগুলো তুলে ধরা হচ্ছে, যা প্রকৃত ইস্যু নয়।” শনিবার ঢাকার মহাখালীতে বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা ও কূটনীতিক সাবিহ উদ্দিন আহমদের স্মরণসভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফখরুল এসব কথা বলেন।
স্মরণসভায় সাবিহ উদ্দিন আহমেদের বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে কথা বলেন তার সহকর্মীরা। ফখরুল জানান, সাবিহ উদ্দিন ছিলেন একনিষ্ঠ দেশপ্রেমিক, যিনি সবসময় জনগণের স্বার্থে কাজ করতেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি সামাজিক পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখতেন। সরকারি চাকরিতে যোগ দিলেও তিনি কখনো সেই লক্ষ্য থেকে সরে আসেননি এবং দেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশেষ করে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে কাজ করার সময় তার দায়িত্বশীলতা ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালাহউদ্দিন আহমেদ সাবিহ উদ্দিনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “সাবিহ ছিলেন একজন নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমিক। দেশের প্রশ্নে তার কোনো আপোষ ছিল না। দেশের জন্য নির্ভীকভাবে কাজ করেছেন এবং জনগণের স্বার্থে সবসময় সরব ছিলেন।” সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ ছিলেন অনমনীয়, যে কোনো বিষয়ে আপোষহীন এবং অত্যন্ত সৎ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ বলেন, সাবিহ উদ্দিন দেশের কথা ভেবেছেন শেষ দিন পর্যন্ত এবং তার মতো দেশপ্রেমিক ব্যক্তি পাওয়া কঠিন।
সাবিহ উদ্দিন আহমেদ ২০০১ সালে বিএনপি সরকারের শাসনামলে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি কূটনীতিক এবং সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছিলেন। ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৭৬ বছর।
স্মরণসভায় সাবিহ উদ্দিন আহমেদের রাজনৈতিক ও পেশাগত জীবনের অবদানকে স্মরণ করে বক্তারা বলেন, তিনি শুধু একজন কূটনীতিক ছিলেন না, বরং দেশের জন্য নিবেদিতপ্রাণ একজন মানুষ ছিলেন। বিশেষ করে ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ দেখার আকাঙ্ক্ষা তার মধ্যে ছিল প্রবল। তার চলে যাওয়া কেবল বিএনপি নয়, পুরো দেশের জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সাবিহ উদ্দিনের মতো মানুষ যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলে তিনি বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আরও দৃঢ় অবস্থান নিতেন। সাবিহের মতো দেশপ্রেমিকরা দেশের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। ফখরুল আরও জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে সজাগ থাকা উচিত, যাতে দেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার সংরক্ষিত থাকে।