রাষ্ট্রপতি অপসারণ ইস্যুতে বিএনপি এখনো সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। তারা এই মুহূর্তে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের পক্ষে নয়, বরং সাংবিধানিক সংকট এড়াতে এবং সহমত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সমন্বয় করে চলার পরিকল্পনা নিয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা দ্রুত নির্বাচন-কেন্দ্রিক সংস্কার কার্যক্রম শেষ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করার আশা করছে।
সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই আলোচনা হয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে বিএনপি নেতারা বলেন, ছাত্র ও নাগরিক কমিটির রাষ্ট্রপতি অপসারণের দাবির সাথে বিএনপি একমত নয়। তবে, এই ইস্যুতে ছাত্রদের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে দলের নজর থাকবে।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, "এই মুহূর্তে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হলে দেশে সাংবিধানিক সংকট দেখা দিতে পারে। এই সুযোগটি নিতে পারেন ফ্যাসিস্ট হাসিনা, যা বিএনপি হতে দিতে চায় না।” এছাড়া বৈঠকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়। নীতিনির্ধারকরা তাদের প্রস্তাবিত ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি এবং দ্রুত নির্বাচন দাবির বিষয়ে পরিকল্পনা করেন। নভেম্বর মাস থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উদযাপনের অংশ হিসেবে ঢাকা সহ বিভিন্ন মহানগরে ১০ দিনের কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। এ উপলক্ষে ঢাকায় বড় আকারে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার পরিকল্পনা রয়েছে। বিএনপি জানিয়েছে, সম্প্রতি দেশের কিছু এলাকায় হঠাৎ বন্যার কারণে পূর্ব নির্ধারিত কিছু রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছিল, তবে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হওয়ায় তারা নতুন কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে।
বিএনপি সূত্র বলছে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তারা বিভিন্ন জেলা ও মহানগরে গণসংযোগসহ অন্যান্য কর্মসূচির গতি বাড়াবে। দলের লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের কাছে পৌঁছে তাদের সমর্থন আদায় করা এবং রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে ৩১ দফা প্রস্তাবের ব্যাখ্যা দেয়া।