জাতীয়

এ বছর হচ্ছে না বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক

উপ-সম্পাদক

উপ-সম্পাদক

শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
এ বছর হচ্ছে না বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে চলতি বছর অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। গত নভেম্বরে নির্ধারিত বৈঠকটি অক্টোবরে স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এটি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এবং বাংলাদেশের ক্ষমতা বদলের পর এটাই এই পর্যায়ের প্রথম বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরে আর এই বৈঠকটি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিএসএফের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৈঠকের নতুন তারিখ এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। নভেম্বরে বৈঠক স্থগিত হওয়ার পর ডিসেম্বরে তা পুনরায় আয়োজনের চেষ্টা করা হলেও কোনো সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। কর্মকর্তার মতে, ঢাকার ধীরগতির কারণে বৈঠকটি আরও পিছিয়ে গেছে। তবে সীমান্তের মধ্যম সারির কর্মকর্তাদের নিয়মিত বৈঠক চলছে, যা উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের বিলম্ব কিছুটা হলেও মেনে নেওয়া যায়।
বৈঠক স্থগিতের পেছনে সীমান্ত সম্পর্কিত কিছু ঘটনা ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে বিএসএফের মোটরবোট চালাতে সহায়তাকারী কয়েকজন অসামরিক ব্যক্তি ভুলবশত বাংলাদেশ ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েন। বাংলাদেশে তাঁদের সশস্ত্র অপরাধী হিসেবে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনা দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে অচলাবস্থা তৈরি করে। একই সঙ্গে, সীমান্তের কিছু পয়েন্টে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে বিজিবির আপত্তি এবং সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার বিষয়টি দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়েছে।
সর্বশেষ এ বছরের মার্চে ঢাকায় বিজিবি ও বিএসএফের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই বৈঠকে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মাদকবিরোধী বিভাগ, কাস্টমস এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নেন। সেখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হলেও নতুন করে উদ্ভূত সমস্যাগুলোর সমাধান এখনো সম্ভব হয়নি।
বিএসএফ কর্মকর্তার দাবি, সীমান্তের সমস্যাগুলো সামান্য হলেও দুই বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এ ধরনের ইস্যুগুলোর সমাধান সহজতর হয়। তবে এ বিষয়ে ঢাকার পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়ায় নতুন বৈঠকের তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য এই ধরনের বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এ বছরের মধ্যে বৈঠক না হওয়ার সম্ভাবনা দুই দেশের কূটনৈতিক অঙ্গনে একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে।