অপরাধ

ছাগলকাণ্ডের মতিউরের বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে করা রিট খারিজ

উপ-সম্পাদক

উপ-সম্পাদক

সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
ছাগলকাণ্ডের মতিউরের বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে করা রিট খারিজ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে তার বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে করা রিট হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মতিউর রহমান এবং তার প্রথম স্ত্রীর আইনজীবীরা এই রিট করেন। তবে আদালত রিটটি "উত্থাপিত হয়নি" বলে খারিজ করেন।
গত ২১ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত মতিউর রহমান, তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকি এবং ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক আনোয়ার হোসেনের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মতিউর রহমান এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে কয়েক হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সন্তান ও স্বজনদের নামে বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ তদন্তের জন্য দুদকের ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে।
মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। তবে বিতর্ক চরমে পৌঁছে যখন ঈদুল আজহার আগে তার ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কেনেন এবং সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয় এবং তার সম্পদ ও আর্থিক কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
এমন পরিস্থিতিতে মতিউর রহমান তার এনবিআর সদস্য পদ এবং ভ্যাট আপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদ হারান। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও তদন্ত শুরু হয়।
মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং আইনজীবীদের মাধ্যমে আদালতে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। তবে হাইকোর্ট এই আবেদন খারিজ করে দেয়।
আদালতের এই রায়ের ফলে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশ যাত্রা স্থগিত রইল।
মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে দুদক সক্রিয় তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তার দাখিল করা সম্পদ বিবরণী যাচাই এবং তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাবসহ বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, মতিউর রহমান ও তার পরিবার বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন, যা তাদের বৈধ আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এছাড়া বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগও অনুসন্ধানের আওতায় রয়েছে।